রহস্যময় জাফলং
রহস্যময় জাফলং
মোঃ এনামুল হক
জাফলং মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠা ঝর্ণা, নদী, পাহাড় আর পাথর- বালির আস্তরণ। তাই সুদূর সেই আস্তরণে পাড়ি জমাতে আমি বন্ধু আলীর নির্দেশনায় হুমায়ুন চত্বর, সিলেট হতে সোজা গিয়ে নামলাম জাফলং জিরো পয়েন্টের নিকটবর্তী সংগ্রাম ফাঁড়ি বিজিবি ক্যাম্পের পাশে। ওখানে যেতে বিরতিহীন গাড়িতে আমার নব্বই টাকা ভাড়া গুনতে হল। যাইহোক, ওখান থেকে নেমে আমি লোকের কাছে শুনতে শুনতে জাফলং এর মাতৃভূমি গুচ্ছ গ্রামে প্রায় হেঁটেই চলে আসলাম। প্রথমে বাংলাদেশের প্রান্তের টিলার উপর দাঁড়িয়ে দেখতে পেলাম ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিস্তীর্ণ পাহাড় সবুজ পোশাকে আচ্ছাদিত হ্য়ে মহীরূহের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে। আর ঐ পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে ভারতের খাসিয়া, মনিপুরী উপজাতিরা এত চমত্কার কারুকার্যের সুন্দর অবয়বে পাকা, আধাপাকা বাড়ি করে রেখেছে যা চর্ম চোক্ষে না দেখলে বোঝা বড় দায়। এরপর হঠাৎ চোখে পড়ল সবুজ পাহাড়ের গা ঘেঁষে লম্বা আকৃতির সাদা রংয়ের কি যেন একটা সাপের মত এঁকেবেঁকে নিচে নেমে আসছে। দূর থেকে প্রথম দর্শনে ভাবলাম ওগুলো হয়তো বালি পূর্ণ সাদা বস্তা দিয়ে কেউ হয়ত পাহাড়ে ওঠার সিঁড়ি বানিয়ে রেখেছে। কিন্তু না। পাহাড়ের আরেকটু নিকটবর্তী হতেই আমার সকল ভ্রমের অবসান ঘটলো। কারণ ওগুলো যা দেখছিলাম তা মূলত সাদা কোন বস্তা নয়, বরং তা অসংখ্য ঝর্ণাধারার বয়ে যাওয়ার সুরম্য দৃশ্য। তবে দর্শনার্থীদের চোখে তা দৃষ্টিনন্দন ঝর্না হলেও আমার কাছে মনে হলো ওগুলো বোবা পাহাড়ের নিরব কান্না। আর অশ্রুজলে বুক ভাসানো ঐ প্রবাহিত অশ্রু বন্যার যেন নেই কোন শীত-গ্রীষ্ম বর্ষা। বিরতিহীনভাবে সারাক্ষণই শক্ত পাথরের নরম বক্ষ ভেদ করে বিশাল হৃদয়ের ঐ বোবা পাহাড়ের কান্নার প্রভাব তাই এত ঠুনকো হলে কি চলে? আর সেজন্যই হয়তো, তার কান্নায় সেখানে যথারীতি ধারায় একবুক পাথর সমৃদ্ধ নদী বয়ে গেছে। আর ততক্ষণে আমিও বুঝে গেছি মূলত পাহাড়ের কান্নাটা এখানে মহান সৃষ্টিকর্তা কতটা তাৎপর্যপূর্ণতায় ভরিয়ে রেখেছে। কেননা এখানে ঐ পাহাড়ি কান্নায় যে কত মানুষের কান্না থামাচ্ছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। কারণ অশ্রুনদীর সেই মৃদু ঢেউয়ের তালে মানুষ ছাড়াও কত যে প্রাণীর জীবিকা এবং তৃষ্ণা মেটানোর অবিকল্পতা নির্ভর করছে তা মহাকারিগর সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ ভাল জানতে পারে বলে আমার মনে হয় না। আর আমার মত ক্ষুদ্র জ্ঞানে সেটা বোধগম্য হওয়া তো আরো দুষ্কর একটা ব্যাপার। অশ্রু নদীর প্রবাহের সাথে পাথরের ঐশ্বরিক প্রবাহ মিছিল যে কত নান্দনিকতা প্রকাশ করছিল তা নিজে চোখে দর্শন না করলে বিশ্বাস করানোটাই বড় মুশকিল। দূর থেকে ঐ নদীর মাঝে হাজার হাজার টন সাদা পাথরের আস্তরন দেখে তাই আমার সহসাই ঐ পাথরের কাছে যাবার বড্ড স্বাদ জাগলো। টহলরত দুই বিজিবি সদস্যের পাশে এক নৌকার মাঝি খুঁজে পেলাম আমি। আমার অগ্রসরতা দেখে ওদের চোখে মুখে রীতিমতো অস্ফুট আগ্রহের দ্বিগুন ছাপ পরিলক্ষিত হলো। কারণ এখন তাদের এমনিতেই অফ সিজেন চলছে আর তাতে রোজা রমজান মাস। স্বাভাবিকভাবেই, পর্যটকের সংখ্যা এখন নাই বললেই চলে। যাইহোক, অন্য কোন সঙ্গী না পেয়ে আমি একাই ওদের সাথে চারশ টাকা ঝর্ণা অবধি যাওয়া আসার ভাড়া কন্টাক করে নৌকা ভ্রমণে বেরিয়ে পড়লাম। প্রথমে একটু ভয় ভয় লাগছিল। একা একা কিছু হয় কি না হয়। পরে অবশ্য আস্তে আস্তে ভয় কেটে গেল ঐ মাঝির সরল সততায়। ছোট ছোট কথায় তার সাথে আমি পরিচিত হলাম। তবে লোকটার নাম জিজ্ঞেস করায় উনার ইশারায় উনারই প্রদত্ত ছাতার পিছনে লাল রঙে অঙ্কিত নাম দেখেই বুঝলাম উনার নাম হচ্ছে শ্রীদাম। উনি সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী। তবে কথায় কথায় সেও মহান সৃষ্টিকর্তার অপার সৃষ্টিলীলায় রোমাঞ্চিত হয়ে আমার সাথে একাত্মতা প্রকাশ না করে আর পারলো না। যাইহোক, নৌকা বাইতে বাইতে শ্রীদাম মাঝি আমাকে নদীবক্ষের ঐ অপার সম্পদের খনি পাথর স্তুপের কাছে নিয়ে গেল। ওখানে ছাতিটা নিজের কাছেই রেখে বলল, "স্যার, আফনে ঐ বড় ফাথরে পারে উবাউ। আফনের খয়টা ফটো তুলি দিলাই।" আমি ক্যামেরাটা অন করে উনার হাতে ফোনটা দিলাম এবং ফোন ক্যামেরা হাতে পেয়েই সে নানান আঙ্গিকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ফটাফট কয়টা ছবি তুলে ফেলল। ভারতের অংশের পাথর কেউ তোলে না। তবে ঐ পাথরগুলো ভালবাসার নিগূঢ় মহিমা স্বরূপ নিরবে নিঃসঙ্কোচে বাংলাদেশের অংশে এসে নদীপাড়ের মানুষের জীবিকার বাহন হিসেবে ভীড় জমাচ্ছে। পাথর সংগ্রহ, পাথর ভাঙা, পাথরের খোয়া বহন করে ট্রাকে তোলা ইত্যাদি কত কাজের সমারোহ যে এখানে ঘটেছে তা বলে শেষ করা যাবে না। শ্রীদাম মাঝির মতো অনেকেই এখানে পর্যটকদের নৌকায় ঘুরিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে।
পাথরের আস্তরণে আমাদের নৌকাটি প্রায় আটকে যাওয়ার উপক্রম হলো। তাই তত্ক্ষণাত্ নৌকাটিকে ঐ শ্রীদাম মাঝি বৈঠা দিয়ে ভালমতো ঠেলা দিয়ে আবার সেটাকে পানিতে ভাসালো। নৌকা সামনে এগোতেই দেখি একটা ঝরনা এবং নদী দ্বারা দুই পাহাড়কে সংযোগকারী একটা অসাধারণ ঝুলন্ত ব্রিজ। আমি বললাম, "আমাকে ওদিকে নিয়ে যাওয়া যায়না, ভাইজান?" মাঝি বলল, "না স্যার, ঐবাই ভারতের সীমানা হইতা। আমরে যাওয়াক্কা অনুমতি ন্যাই।" আমি বললাম, "তাহলে ওরা কারা ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় ভেসে ওদিকে যাচ্ছে?" সে বলল, "ওইত্যা ভারতের মানুষো অইলা। উনারা ওবাই যাইতা। এবাই আইতা না। ওরা ওদের সীমানায়ই বেড়াবে।" কথা শেষ হতেই উপরে দৃষ্টি গেল আমার। দেখি, পাহাড়ের মাথায় ভর করে প্রায় চল্লিশ তলা বাড়ির উচ্চতাসম রাস্তা দিয়ে অসংখ্য গাড়ি চলাচল করছে। রাস্তার পাশে কোন সেফটি গার্ড নেই। তবুও ঐ চালকরা প্রায় দুঃসাহসীক অভিযাত্রীকের মত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রীদাম মাঝি হিয়ালী করে বললো, "আমাদের ড্রাইভাররা, ওইবাই গাড়ি চালাতে গ্যালে তো ডরেই মারানি লাগবো।" একটা ঝর্ণার অস্তিত্ব লক্ষ করলাম। মাঝিকে ওখানে যেতে বলতেই সে বলল, "না স্যার, ঐবাই যাইও পারমিশন নেই। ওখটা পারতের অংশে। আফনারে মায়াবী ঝর্নার খাাচে লইয়া যাইতাম।"
এবার আমাদের গন্তব্য সেই 'মায়াবী ঝর্ণা'। স্বচ্ছ পানির মৃদু স্রোতধারায় আমাদের নৌকা ছলাত্ ছলাত্ করে চলছে তো চলছেই। দূরে দেখি একটা নৌকার সাথে পাঁচ ছয় জন লোক বালতি নিয়ে নদীর তলদেশ থেকে অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে কি যেন তুলছে। যত কাছে গেলাম ততই বিষয়টা স্পষ্ট হলো। ওরা মূলত ওখানে সিলেকশন বালি উত্তোলন করছে। একজন কোমর পানির ঠাইতে দাঁড়িয়ে বালতিতে সজোরে ধাক্কা মেরে পানির নিচের সিলেকশন বালি আরেক জনার ধরা ঝাঝরির উপরে ফেলে দিচ্ছে এবং অন্যজন তা পানি নিংড়ে নৌকার মধ্যে ফেলছে। জীবিকা অর্জনের জন্য এই পেশা যেন ওরা উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছে। "এক নৌকা বালি কত টাকা বিক্রি হয়, ভাই?" সে উত্তর দিল, "দু হাজার টাকা সার!" এভাবে অসংখ্য নৌকা সেখানে স্থানীয় মানুষের জীবিকা উপার্জনের বাহন হিসেবে কাজ করছে। আর যারা বালি তুলছে তাদের সবারই বয়স আনুমানিক তের থেকে ছাব্বিশ এর মধ্যে হবে। ওদের নিপুণ হাতের কাজের সৌন্দর্যের দিকে আমার ফ্যালফেলিয়ে চাহনি দেখে অনেকেই তাদের পরিচিত শ্রীদাম মাঝিকে স্থানীয় ভাষায় কি যেন বলাবলি করছে আর মজা নিচ্ছে।
স্বচ্ছ পানির ধারাটি সরু প্রণালীর মত বাঁক নিয়ে বালির স্তুপের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সামনের দিকে। আমাদের নৌকাও সেই প্রণালী অনুসরণ করে সামনে এগোতে থাকলো। সামনে দেখতে পেলাম, পাঁচ জয় জন স্থানীয় লোক বোঝাই কয়েকটা নৌকা খুঁটিতে বাঁধা অবস্থায় একসাথে গাঁট বাঁধা আছে। আমাদের নৌকারও ঐ একই পরিণতি বরণ করানো হলো। কারণ শুকনো মৌসুম হওয়ায় পানি শুকিয়ে বালুর আস্তরণ পড়ে গেছে। নৌকা আর সামনে যাবে না। তাই ওখানটাতেই নৌকা রেখে আমাদের বালুর পথ পাড়ি দিয়ে ঐ মায়াবী ঝর্ণার আবেগি আহবানে সাড়া দিতে যেতে হবে। অবশেষে আমরা আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত ঝর্ণার কাছে পৌঁছালাম। সেখানে মহান স্রষ্টার অপার মহিমাময় সৃষ্টি দেখে মনের অজান্তেই তাঁর প্রতি আরেকবার আমার মাথা শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে এলো । মাঝি বলল, "সার,ঝরনায় গোসল করবেন না.....আমি আফনারে ফটো তুলে দিলাই।" আনন্দের আতিশয্যে আমি তখন কি করব প্রথমে ভেবেই পাচ্ছিলাম না। পরে সহসাই অন্যদের দেখাদেখি আমিও ঝর্ণার পানিতে অবগাহন করতে করতে পাথর বেয়ে উপরে উঠতে শুরু করলাম।
প্রকাণ্ড সব পাথরের বক্ষদেশ ভেদ করে স্বর্গীয় অপ্সরার মতো ঝর্নার পানি অবারিত ধারায় ঝরঝর করে বাহিরে আঁছড়ে পড়ছে। আমি সন্তর্পণে এ পাথরে ও পাথরে পা দিয়ে বেশ সতর্কতার সাথেই মাথার উপরের ঐ প্রকান্ড পাথরের বুকে অনেকটা চেপে বসলাম। আরও ওপরে উঠা যেত। কিন্তু রোজায় থেকে ক্লান্ত শরীরে অদম্য ইচ্ছাকে সেখানেই দমন করতে হলো। কারণ হচ্ছে, উপরে উঠা মানেই এনার্জি ক্ষয় আর এনার্জি ক্ষয়ে বেশি দুর্বল হয়ে গেলেই তো আমার রোজার অবস্থাও 'মাইরেবাপ'। যাইহোক, ভবিষ্যতের ঘাড়ে বসে অতীত স্মৃতিকে রোমন্থনের আশায় তাত্ক্ষণিক ঐ দৃশ্যগুলো ক্যামেরা বন্দি করতে আবারো ঐ লিকলিকে শ্রীদাম মাঝির সহযোগিতা দরকার হলো। এবারও সে দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় আমার অনুরোধে অনেকগুলো ছবি ফটাফট তুলে ফেলল। অতঃপর প্রাণভরে ঝর্ণা রানীর দেশে রোমাঞ্চকর অনুভূতি গায়ে মেখে আমি যখন বালুপথের বুক চিরে নৌকা পানে অগ্রসর হচ্ছি ঠিক তখন বাংলাদেশ অংশের দীপাঞ্চলে কিছু উপজাতিদের বাস লক্ষ্য করলাম। 'মায়াবি ঝরনা' ছেড়ে আরও বেশ খানিকটা দূরে উপজাতিরা পাহাড়ের টিলায় কমলা ও সুপারি গাছে পান চাষ করেছে । দূর থেকেই আমি তাকে দেখার একটু ব্যর্থ চেষ্টা করলাম। কাছে যাওয়া আর হল না।
যাইহোক, জাফলং যাওয়ার সময় বাম পাশের সিটে বসার কারণে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট জানালার ফাঁকের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলোর প্রতিই আমার দৃষ্টি নিক্ষেপ করার সুযোগ হচ্ছিল। তামাবিলের বিস্তর ফসলহীন মাঠে দেখতে পেলাম, অসংখ্য গরুর পাল স্বাধীনভাবে ঘাস খেয়ে বেড়াচ্ছে। তা না হলেও একেকটা পালে অন্তত দেড়শ দুশো গরু হবে। শুনলাম, রাখালরা নাকি এখানে পালা করে এসব গরুগুলো মাঠে চরিয়ে নিয়ে বেড়ায়। বিস্তীর্ণ মাঠের কোথাও কোথাও বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে সবুজ গাছের মাথায় ধানের শীষ যেন অসহায়ের মতো স্বচ্ছ পানিতে হাবুডুবু খায়ে বেড়াচ্ছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টির কবলে পড়ে ঐ বিলের পানির পরিমাণ বেড়ে যায় বলেই হয়তো চাষিরা এই সিজেনে ঝুঁকি নিয়ে ধানের চাষ করে না। আর যারা ঝুঁকি নিয়ে এসব ধানচাষ করেছে তাদের পরিণতি তো আমার চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি।
জৈন্তাপুর পেরোতেই চোখে পড়লো এখানকার মানুষের আরও এক সংগ্রামী জীবনধারা। কারণ, এ অঞ্চল ব্যাপী মানুষের বাড়িঘর গুলো দেখে মনে হলো, এরা বেশ সংগ্রাম করেই ওখানে টিকে আছে। কেননা, বেড়া বা টিন সমৃদ্ধ ঐ বাড়িগুলো অতন্দ্র প্রহরীর মত বেশ কিছু ছোট বড় গাছপালায় আচ্ছাদিত হয়ে ছোট ছোট দ্বীপের মতো স্বচ্ছ পানির বুকে স্বরূপ প্রতিচ্ছবির আবেগী মায়ায় এক্কেবারে ঘাপটি মেরে পড়ে আছে। আবার এসব বাসিন্দাদেরকে বাড়ির সামনের মূল রাস্তায় আসতে হলে, নৌকা ছাড়া তাদের আর কোন গত্যান্তর নেই। যাইহোক, এসব অসীম বৈচিত্র্যময় বাস্তব রূপের সীমাহীন দৃশ্যের হাবুডুবুতে মনের অব্যক্ত খুশিকে দোল খাওয়াতে খাওয়াতে আমি যখন হঠাত্ ডানপাশের দৃশ্যে একটু চোখ ফেরাই, তখন দেখতে পাই, কালো মেঘের মত সুবিশাল গম্বুজের অসংখ্য দৈত্যাকার আস্তরণ।
হঠাৎ এতকিছুর দর্শনে, বিশ্বয়ের চোখ আমার একসাথে এত বৈচিত্রের পটভূমি বহন করতে হিমশিম খাচ্ছিল। ঐযে বিশাল আস্তরণ যা দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল সেগুলো আসলে আর কিছুই নয়, ওগুলো হলো সীমানাপ্রাচীর স্বরূপ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিশালাকৃতির পাহাড়সমূহ। যাইহোক, পাহাড়ের রাজ্যে অবগাহন করতে করতে নিচ অভিমুখে চোখ নামাতেই দেখি বাংলাদেশের অংশে স্বচ্ছ পানির উপরে মাথা উঁকি মেরে মেরে অসংখ্য গাছের ভরাট গাঢ় সবুজের থুপোগুলোও বৃহত্ সৌন্দর্যের টুকিটাকি অলংকারের বাহন হিসেবে কাজ করছিল।
Comments
Post a Comment